একটি জ্ঞানের আলোকবর্তিকা - যেখানে জীবন প্রস্ফুটিত হয়, স্বপ্ন হাতছানি দেয়। যেখানে ঝরে পড়া ফুল আবার নতুন জীবন খুঁজে পায়। যেখানে মায়াবি সবুজ ক্যাম্পাসের প্রতিটি বৃক্ষ যেন রূপকথার গল্প শোনায়।
১৯৬৯ সালের ৩০ জুন প্রতিষ্ঠিত হাসানপুর শহীদ নজরুল সরকারি কলেজ ঐতিহাসিক তাৎপর্যের পটভূমিতে তার বর্ণাঢ্য যাত্রা শুরু করে। প্রয়াত দানবীর আবদুস সামাদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, কলেজটি দ্রুতই জ্ঞান, প্রশান্তি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আলোকবর্তিকা হিসেবে বিকশিত হয়।
১৯৮৮ সালের ৪ অক্টোবর, কলেজটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকারি মালিকানায় রূপান্তরিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা আবদুস সামাদের স্বপ্ন ও ভিশন কলেজের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, তবে পরবর্তীকালে এটি মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নজরুল ইসলামের নামে নামকরণ করা হয়।
সুবিশাল ৮.১ একর জমির উপর অবস্থিত কলেজটিতে একটি তিন তলা একাডেমিক ভবন, একটি তিন তলা ডিগ্রি বিল্ডিং এবং একটি দৃষ্টিনন্দন ছয় তলা বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবন রয়েছে। ক্যাম্পাসে একটি স্বাস্থ্যকর ক্যান্টিন, সামনের দিকে একটি মসজিদ এবং একটি সুবিশাল ও সুন্দর খেলার মাঠ রয়েছে। সম্প্রসারণের পরিকল্পনায়, ছাত্রাবাস তৈরির জন্য ডিগ্রি ভবনের পিছনে পর্যাপ্ত জমি রয়েছে।
বর্তমানে, কলেজটিতে ৩১ পদের মধ্যে ২৫ জন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শিক্ষক রয়েছেন। ২,০০০ এরও অধিক ছাত্র-ছাত্রী এখানে পড়াশোনা করে, যারা চিরসবুজে ঘেরা এক মনোরম পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করছে, যেখানে ২০০ টিরও বেশি গাছ ক্যাম্পাসকে শোভিত করছে। নিরাপত্তার জন্য পুরো ক্যাম্পাসটি সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে রয়েছে।
কলেজটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ব্যবহারবান্ধব ওয়েবসাইট, ডিজিটাল মেসেজিং সিস্টেম, এবং একটি অনলাইন ফলাফল সিস্টেম রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য সহায়ক।
শিক্ষার মানের পাশাপাশি কলেজের একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব এর সহ-পাঠ্যক্রমিক সাফল্যেও প্রতিফলিত হয়। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তঃ-কলেজিয়েট প্রশংসাগুলি প্রদর্শিত হয়, যা সাফল্যের কেন্দ্র হিসেবে হাসানপুর শহীদ নজরুল সরকারি কলেজের পরিচয়কে আরও দৃঢ় করে।
কলেজে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে। এই সম্পর্কটি একটি ইতিবাচক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে এবং কলেজের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
কলেজটি তার অতীত উদযাপন করার সাথে সাথে, এটি ক্রমাগত শ্রেষ্ঠত্ব, উদ্ভাবন এবং জাতির জন্য অনুকরণীয় নাগরিক তৈরি করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।